ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন,আসল তথ্য জানুন?
স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন ইনকামের উপায়প্রিয় পাঠক, আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন। কিভাবে কাজ করতে হয় এ বিষয়ে সঠিক তথ্য খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খুঁজেছেন কিন্তু প্রচলিত উপায় গুলো ছাড়া ইউনিক তথ্য গুলো জানতে পারেননি। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা এখানে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়।
প্রচলিত উপায় গুলো ছাড়াও যে ইনকাম করা সম্ভব এখানে তার একটি প্রতিফলন তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি নতুন হন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে শুরু করবো
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা আসলে যতটা কঠিন মনে হয়, বাস্তবে ততটা নয়। প্রথমে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মানে কী এটি এমন একটি অনলাইন পেশা যেখানে আপনি নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদের কাজ করে আয় করতে পারেন।
শুরুতে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্কিল বেছে নিতে হবে, যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। এরপর সেই স্কিল শেখার জন্য ইউটিউব, কোর্স বা অনলাইন টিউটোরিয়াল থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
একবার আপনি মৌলিক দক্ষতা অর্জন করলে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন যেখানে আপনার কাজের নমুনা থাকবে। Fiverr, Upwork, Freelancer বা PeoplePerHour এর মতো প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল খুলে শুরু করতে পারেন। প্রথমদিকে কম দামে কাজ নিয়ে রিভিউ সংগ্রহ করুন,
এতে প্রোফাইল দ্রুত বড় হবে। নিয়মিত অনুশীলন, সময়মতো কাজ জমা দেওয়া এবং ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করাই সফলতার চাবিকাঠি। এভাবে কাজ করলে বুঝতে পারবেন কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখে কিভাবে ইনকাম করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করার মূল উপায় হলো নিজের দক্ষতা বিক্রি করা। আপনি যদি ভালোভাবে কোনো স্কিল আয়ত্ত করেন, যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, এস ই ও, ওয়েব ডিজাইন বা লেখালেখি, তাহলে বিশ্বজুড়ে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ নিতে পারেন।
Fiverr, Upwork, Toptal বা Guru এর মতো মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রোফাইল খুলে নিজের সার্ভিস অফার করুন।শুরুতে ছোট প্রজেক্ট নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন, তারপর ধীরে ধীরে বড় ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করুন। কাজের মান যত ভালো হবে,
তত বেশি রেট পাবেন। অনেকেই শুরুতে পার্ট টাইম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করেন, পরে ফুল-টাইম ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তোলেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ধৈর্য রাখা ও নিয়মিত শেখা। সময়ের সঙ্গে স্কিল আপডেট করলে ইনকাম বাড়তে থাকে। কোন কিছুতেই সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কিভাবে কাজ করতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কর্মী নন, বরং স্বাধীনভাবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের প্রজেক্টে কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সার নিজে ঠিক করেন কখন, কোথায় ও কার জন্য কাজ করবেন।
কাজের ধরন অনুযায়ী অনলাইনে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চুক্তি সম্পন্ন হয়।কাজ করতে হলে প্রথমে একটি মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল খুলতে হবে। প্রোফাইলে নিজের স্কিল, কাজের নমুনা ও অভিজ্ঞতা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে হবে। যখন কোনো ক্লায়েন্ট প্রজেক্ট পোস্ট করেন,
তখন আপনি বিড বা অফার পাঠিয়ে কাজ পাওয়ার চেষ্টা করবেন। কাজ পাওয়ার পর সময়মতো সম্পন্ন করা, মান বজায় রাখা এবং ক্লায়েন্টের সাথে ভালো যোগাযোগ রক্ষা করা জরুরি। ভালো রেটিং ও রিভিউ আপনাকে ভবিষ্যতে আরও কাজ এনে দেবে।
সবচেয়ে সুবিধার বিষয় হচ্ছে আপনি যে কাজে বেশি পারদর্শী সেই সেক্টর নিয়ে কাজ করলে তাড়াতাড়ি ভালো কিছু করতে পারবেন।
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং গাইড
নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন তারা সব সময় বিভ্রান্ত থাকে। কোথা থেকে শুরু করব এবং কি কাজ শিখব, কোথায় কাজ করতে হবে এ বিষয়গুলো নিয়ে। তবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে নিজের কাজের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকতে হবে। এরপর নিজের চাহিদা অনুযায়ী একটি স্কিল বেছে নিতে হবে।
এরপর সেটি শিখে ছোট ছোট প্র্যাকটিস প্রজেক্ট তৈরি করতে হবে।নিজের কাজগুলো Behance, Dribbble বা Medium-এর মতো প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে রাখুন, যাতে ক্লায়েন্টরা দেখতে পারে।Fiverr বা Upwork-এর মতো সাইটে প্রোফাইল খুলে নিয়মিত কাজের জন্য আবেদন করুন।
প্রথমদিকে কম দামে হলেও কাজ করুন, কারণ এতে রিভিউ ও অভিজ্ঞতা দুটোই বাড়বে। ধৈর্য ধরুন প্রথম কাজ পেতে কিছুটা সময় লাগে, কিন্তু কোন প্লাটফর্ম থেকে যদি একবার ইনকাম শুরু হয় আস্তে আস্তে সেটি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই নতুনরা কোন ঝামেলা ছাড়াই শুরু করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার ধাপ সমুহ
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
প্রথম ধাপঃ এমন একটি স্ক্রিল নির্বাচন করুন, যেটিতে আপনার আগ্রহ এবং বর্তমান মার্কেটে চাহিদা অনেক বেশি। অনেকেই ভুল করে যে সকল কাজের মার্কেটে চাহিদা খুব কম সেগুলো নিয়ে কাজ করে। তাই তারা ভালো ইনকাম করতে পারে না।
দ্বিতীয় ধাপঃ আপনার কাঙ্খিত স্কেল শেখার জন্য অবশ্যই অনলাইনে কোর্স করতে হবে এবং কোর্সের পাশাপাশি youtube ভিডিও দেখে কাজগুলো ভালোভাবে শিখতে হবে। এভাবে কাজ করলে খুব তাড়াতাড়ি একটি স্কিল ভালোভাবে শিখতে পারবেন।
তৃতীয় ধাপঃ শেখা শেষ হলে পোর্টফোলিও তৈরি করুন যেখানে আপনার সেরা কাজগুলো থাকবে। অর্থাৎ যে সকল কাজ শিখছেন এবং যে কাজগুলো প্র্যাকটিস করছেন। এগুলো নিজের কাছে ভালোভাবে রাখবেন এবং দেখবেন কোথায় ভুল হয়েছে। কি করলে কাজগুলো আরো ভালোভাবে করা যায়।
চতুর্থ ধাপঃ Fiverr, Upwork বা Freelancer-এর মতো মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল খুলুন এবং গিগ বা প্রপোজাল তৈরি করুন।
পঞ্চম ধাপঃ প্রথম কাজ পেতে ধৈর্য ধরুন, কম রেটে শুরু করে রিভিউ অর্জন করুন।
শেষ ধাপঃ নিয়মিত শেখা, কাজের মান উন্নয়ন ও ক্লায়েন্ট সম্পর্ক বজায় রাখুন। এই ধাপগুলো মেনে চললে আপনি একটি সফল ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী আয়ের উৎস তৈরি করতে পারবেন।
এই উপায় গুলো অবলম্বন করে কাজ শুরু করতে পারলে। আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই।
Freelancing এর কাজ শেখার কোর্স
ফ্রিল্যান্সিং শেখার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো একটি ভালো কোর্স করা। বর্তমানে অনলাইনে অনেক মানসম্মত কোর্স পাওয়া যায়, যেখানে শূন্য থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হয়। কোর্সে সাধারণত থাকে স্কিল ট্রেনিং (যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট), প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্ট,
পোর্টফোলিও তৈরি এবং মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার গাইডলাইন।বাংলাদেশে অনেক অভিজ্ঞ ট্রেইনার ও অনলাইন ইনস্টিটিউট কোর্স পরিচালনা করছে। কোর্স বেছে নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন, সেখানে যেন প্র্যাকটিক্যাল সাপোর্ট ও রিয়েল ক্লায়েন্ট প্রজেক্ট থাকে।
লাইভ সাপোর্ট ও ফিডব্যাক সুবিধা থাকলে শেখা আরও সহজ হয়। মনে রাখবেন একটি ভালো কোর্স আপনার সময় বাঁচাবে এবং সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। কোর্স শেষে নিয়মিত প্র্যাকটিস করলে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করা সম্ভব।
ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার উপায়
আজকের দিনে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করা শুধুমাত্র বিকল্প একটি ইনকামের পথ নয়। এটা অনেকের কাছে লাইফ টাইম ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে উঠেছে। তবে সবাই কিন্তু একইভাবে সফল হয় তা কিন্তু নয়। কারণ সকল ফ্রিল্যান্সাররা কিছু গোপন কৌশল জানে যা সাধারণত সবাই জানে না।
নিচে এমন কিছু বাস্তব উপায় আলোচনা করা হলো যেগুলো জানলে আপনি ঘরে বসে উল্লেখযোগ্য ইনকাম করতে পারবেন।
১. মাইক্রো সার্ভিস ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং
সবচেয়ে বড় ভুল করে এখানে যে প্রথম বড় বড় প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার জন্য মানুষ আগ্রহী হয়। তবে এখন ইনকাম হচ্ছে ছোট ছোট মাইক্রোটাস্ক এবং মাইক্রো সার্ভিস থেকে যেমনঃ
- ক্লায়েন্টের জন্য একটি লোগোর রঙ ঠিক করা।
- ১ মিনিটের ভিডিওর সাবটাইটেল দেওয়া।
- ইউটিউব থাম্বনেইল তৈরি করা।
- ব্লগে ব্যাকলিংক যুক্ত করা।
এই ছোট কাজগুলো Fiverr, Workana, বা ClickWorker এর মতো সাইটে পাওয়া যায়। প্রতিটি টাস্কের জন্য আপনি $5-$30 পর্যন্ত আয় করতে পারেন। দিনে ৫–৬টি টাস্ক করলে মাসে সহজেই $500+ ইনকাম সম্ভব।
২. AI টুল ব্যবহার করে স্মার্ট ফ্রিল্যান্সিং করা
এখন যারা শুধুমাত্র ম্যানুয়াল কাজ করে তারা ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ছে। কিন্তু যারা বুদ্ধি খাটিয়ে ম্যানুয়াল কাজের পাশাপাশি Ai টুল ব্যবহার করে যে ইনকাম করা যায় এগুলো অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। যেমনঃ
- ChatGPT বা Jasper.ai দিয়ে ব্লগ কনটেন্ট তৈরি করা।
- Canva Magic Studio দিয়ে ডিজাইন করা।
- ElevenLabs দিয়ে ভয়েসওভার করা।
- Midjourney / Leonardo AI দিয়ে ছবি তৈরি।
এই সকল ফুল দিয়ে আপনি মাত্র কয়েক মিনিটে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ শেষ করতে পারবেন। এতে আপনার সময় বাজবে, অল্প সময়ে বেশি কাজ করতে পারবেন এর পাশাপাশি অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
৩. লোকাল ক্লায়েন্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করা
বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার বিদেশি ক্লায়েন্টের দিকে ঝুঁকে, কিন্তু স্থানীয় মার্কেট আসলে “অজানা স্বর্ণখনি”। বাংলাদেশে এখন হাজারো ছোট ব্যবসা, অনলাইন শপ ও ফেসবুক পেজ আছে যারা লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন, ক্যাপশন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদির জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজছে।Facebook গ্রুপ,
WhatsApp কমিউনিটি বা Fiverr Local এর মাধ্যমে এই ক্লায়েন্টদের খুঁজে বের করুন। লোকাল ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করলে দ্রুত পেমেন্ট মেলে এবং লং টার্ম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই লোকাল ক্লায়েন্টের কাজ যদি একবার শুরু করেন।
একটি ক্লায়েন্ট পেলে তারাই আপনাকে নতুন নতুন ক্লাইন্ট এনে দিবে যদি আপনার কাজের মান ভালো থাকে।
৪. একাধিক ইনকাম সোর্স তৈরি করা
ঘরে বসে সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করতে হবে শুধুমাত্র একটি কাজ দিয়ে ভালো পরিমাণ ইনকাম করা সম্ভব নয়। উদাহরণস্বরূপ এগুলো দেখতে পারেনঃ
- ফাইবারে অ্যাকাউন্ট করুন এবং বিভিন্ন কাজের সার্ভিস দিন।
- ফাইবারে যে কাজগুলো করেন একই কাজ ইউটিউবে ভিডিও আকারে পাবলিশ করুন।
- Ai ব্যবহার করে এবং নিজে আর্টিকেল লিখে এডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবসাইট দিয়ে ইনকাম করুন।
এই তিনটি সোর্স নিয়ে কাজ করলে প্রত্যেকটি থেকে অল্প পরিমাণ ইনকাম হলেও মাস শেষে অনেক বেশি ইনকাম করা সম্ভব। প্রথম অবস্থায় শুরু করলে কাজ করতে একটু সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
৫. ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড গড়ে তোলা
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বড় ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নিজের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে এবং ফেসবুক ইউটিউব এর মাধ্যমে সেগুলো মার্কেটিং করে আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি নিজের একটি অনলাইন ব্যবসা থাকলে,
প্রতিমাসে অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি নিজের কোন অনলাইন ব্যবসা থাকে তাহলে আপনার ব্র্যান্ডিং দেখেও ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজের জন্য টাকা দেবে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে
ঘরে বসে ইনকাম মানে শুধু Fiverr বা Upwork নয়। AI, লোকাল মার্কেট, মাইক্রো সার্ভিস, এবং পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এই চারটি বিষয়েই লুকিয়ে আছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আসল সম্ভাবনা। যারা এখন থেকেই এগুলো আয়ত্ত করবে, ভবিষ্যতে তারাই বড় আয়ের মালিক হবে।
ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে আয়ের কোন নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। আপনি যত দুঃখ হবে এবং যত নিয়ম মত ও পেশাদার হবে আপনার ইনকাম তত বেশি বাড়তে থাকবে। অনেকেই ভাবে ফিন্যান্সিংয়ে মাসে কত টাকা,
আসলেই কি এর কোন নির্দিষ্ট উত্তর আছে। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কিছু বাস্তব বিষয়ের উপর, প্রথমে রয়েছে আপনার স্কিল অর্থাৎ আপনি কোন কাজের ওপর কতটা দক্ষ। অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরন যে কাজটি ক্লাইন্টদের করে দিবে সেগুলোর উপর আপনার অভিজ্ঞতা কত এবং কাজগুলো কিভাবে সম্পন্ন করছেন।
সাথে কথা বলার পর তাদেরকে খুশি করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা কতটুকু করছেন এর উপর নির্ভর করে। কোন ক্লায়েন্টের আপনার কাজ পছন্দ হলে তারা ৫ থেকে ১০ ডলার বেশি দিয়েও আপনাকে কাজটি করে নিবে।
শুরুর পর্যায়ে যারা নতুন, তারা সাধারণত ছোট কাজ করে প্রতি মাসে ৮০০০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। এ সময় একজন ফ্রিল্যান্সারের উচিত হবে রিভিউ এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করা। যেকোনো মার্কেটপ্লেসে একটি ক্লায়েন্টের মন্তব্যের উপর আপনার ইনকাম নির্ভর করবে।
আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন যে সকল মার্কেটপ্লেসে যে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে তাদের কাজের উপর যে মন্তব্য হয় এগুলোর উপর তারা আরও বেশি কাজ পায়। একজন নতুন ডিজাইনের যদি ফাইবারে দিনে দুইটি ছোট লোগো ডিজাইন এর প্রজেক্ট পাই।
তার প্রতিটি কাজের মূল্য ১০ ডলার হলেও কিন্তু প্রতি মাসে 300 ডলারের মতো ইনকাম করা সম্ভব। সে যদি একই সাথে দুই থেকে তিনটি ক্লাইন্ট যোগাড় করতে পারে তাহলে ইনকাম আরো অনেক গুণ বেড়ে যাবে।অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে ইনকাম অনেক বেশি।
যেমন একজন সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার বা SEO এক্সপার্ট Fiverr, Upwork, বা Toptal-এর মতো প্ল্যাটফর্মে মাসে $1000 থেকে $3000 পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এমনকি অনেক প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার মাসে ৫ লাখ টাকার বেশি ইনকাম করে, কারণ তারা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সাথে দীর্ঘমেয়াদী কনট্রাক্টে কাজ করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় বাড়ানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রহস্য হলো “একাধিক ইনকাম সোর্স তৈরি করা”। মানে, শুধু Fiverr বা Upwork নয়, নিজস্ব ওয়েবসাইট, YouTube চ্যানেল, বা ই-বুক বিক্রির মাধ্যমে অতিরিক্ত আয় করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি কনটেন্ট রাইটার হন, তাহলে একদিকে ক্লায়েন্টদের জন্য লেখা বিক্রি করতে পারেন,
আবার নিজের ব্লগ চালিয়ে Google AdSense থেকেও উপার্জন করতে পারেন।আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টাইম ম্যানেজমেন্ট ও স্কিল আপডেট। ফ্রিল্যান্সিং মানে কেবল কাজ পাওয়া নয়; প্রতিদিন শেখা, উন্নতি করা এবং কাজের মান ধরে রাখা।
নতুন সফটওয়্যার বা AI টুল শিখলে কাজের গতি বাড়ে এবং বেশি প্রজেক্ট নেওয়া যায়। অনেকে দিনে ৪–৫ ঘণ্টা কাজ করে মাসে $500 ইনকাম করে, আবার কেউ ফুল টাইম কাজ করে মাসে $2000–$4000 পর্যন্ত উপার্জন করে।তবে এখানে একটা জিনিস স্পষ্ট ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে “একদিনেই বড় ইনকাম” আশা করা ভুল।
এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা ক্যারিয়ার।ধৈর্য, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের মিশ্রণই একজন সাধারণ ফ্রিল্যান্সারকে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত করে। আপনি যদি নিয়মিত কাজ করেন, ক্লায়েন্টের আস্থা অর্জন করেন এবং মান বজায় রাখেন,
তাহলে কয়েক মাসের মধ্যেই ঘরে বসে মাসে ১ লাখ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব,এটাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের আসল শক্তি।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা, ইতিপূর্বে আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করবেন। এ সকল বিষয়ে যত সমস্যা রয়েছে সবগুলো সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিভাবে মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে কাজ করবেন এবং প্রতি মাসে ২০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করবেন সম্পূর্ণ গাইড লাইন দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
বর্তমান সময়ে ইনকাম করার জন্য আপডেট কিছু তথ্য রয়েছে সেগুলো উপরে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পেরেছেন।
এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো যদি প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন। উপকৃত হলে আপনার বন্ধু কিংবা আত্মীয়দের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যেন তারাও সঠিক তথ্যটি জানতে পারে এবং কাজ করতে পারে। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এম এ এইচ টেক আইটির সকল নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়...
comment url